গাজী গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী মারকায নেছারাবাদ দরবার শরীফে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ২ দিন ব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিল। প্রথম দিনেই লাখো মুসল্লির সমাগমে মুখরিত গোটা বাসন্ডা এলাকা। দেশের সকল জেলা ও উপজেলা থেকে হযরত কায়েদ ছাহেব (রহ:) এর ভক্ত আশেকানরা যোগ দিয়েছেন এ মাহফিলে। হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. এর একমাত্র ছাহেবজাদা, আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর মাহফিলের সভাপতি হিসেবে উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন- মিল্লাতের আজ চরম দুর্দিন, একদিকে নাস্তিক, যালেম, ভ-সহ ইয়াহুদী খ্রিষ্টান চক্রের ক্রমবর্ধমান ষড়যন্ত্র, অপরদিকে সীমাহীন অনৈক্য, এমতাবস্থায় জাতির এ সংকটময় মুহূর্তে আপনারা এ মাহফিলের গুরুত্ব উপলদ্ধি করে উপস্থিত হয়েছেন, এজন্য আমরা আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো শোকর আদায় করছি। যে কলেমার ভিত্তিতে বিশ্ব মুসলিম এক ও অবিচ্ছেদ্য জাতিতে পরিণত হয়েছিল, আজ তারা বিভিন্ন দল, মত, ছেলছেলা, ফেরকা ও ভৌগলিক সীমায় বিভক্ত। দলীয় রাজনীতি, ইখতেলাফী মাসায়েল, মাযহাব ও ছিয়াছী মতাদর্শে শতধা বিচ্ছিন্ন এ জাতি আজ বিশ্বব্যাপী বিপদগ্রস্ত। এদিকে লাখো মেহমানদের থাকা খাওয়াসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিবেন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। আগামীকাল ২৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার ফজরের নামাজের পর আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সমাপনী বয়ান শেষে মোনাজাত পরিচালনা করবেন, আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবদী হুজুর। মাহফিলে বরাবরের মত এবারও দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ-মুহাক্কেক ওলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেছেন। ভারত থেকে আগত ওলামায়ে কেরাম তাশরীফ রেখেছেন। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও এনএস কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ১ সপ্তাহ আগেই মাহফিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি প্যান্ডেল। আগত মেহমানদের সেবায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগন্তুকদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যাবস্তা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোবাইলসেবা নির্বিঘœ করার জন্য গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বসানো হয়েছে একটি শক্তিশালী টাওয়ার।
Leave a Reply